আস্সালামু আলাইকুম! আশা করি আল্লাহ এর অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়াই ভালো আছি। আজকের নতুন টপিকে আপনাকে স্বাগতম! আজকে আপনাদের জানাবো ফ্রী ফায়ার গেম খেললে কি ক্ষতি হয়।
যারা গেম খেলে থাকেন তারা অনেক সময় ভেবে থাকে আসলেই কি আমার কোনো ক্ষতি হচ্ছে?
নাকি কোনো ক্ষতি হচ্ছেনা? এইরকম নানা প্রশ্নে আসতে থাকে একজন গেমার এর মাথায়।
আপনার আর ভাবার প্রয়োজন নাই আমি জানিয়ে দিচ্ছি কি কি বিপদে পড়তে যাচ্ছেন আপনার জীবনে।
ফ্রী ফায়ার ও পাবজি প্রায় সেম কুয়ালিটি তাই আমি একবারেই ফ্রী ফায়ার বলেই বলতেছি।তবে এই কথা গুলো পাবজির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
ফ্রী ফায়ার গেম খেললে কি ক্ষতি হয়
আপনার আপাতত তেমন কোনো সমস্যা দেখতে পাবেন না। ফ্রীফায়ার গেম খেলেন আর যে গেমই খেলুন না কেন, আপনি এখন যুবক। তাই আপনি টেরই পান না যে আপনার কি কি ক্ষতি হচ্ছে!
যতই টের না পান আপনার ক্ষতি গুলো তবুও একসময় বুঝতে পারবেন আপনি কত বড় ভুল করেছেন ও কতগুলো ভালো সময় নস্ট করেছেন!
কত আপন জনের কথা অমান্য করেছেন! সেই সব আপন জন যখন দুরে চলে যাবে তখনই বুঝবেন তখন তো তাদের সময় দেন নাই।
যাদের সময় দিতেন না এখন তারা আর আপনাকে সময় দেয়না।
শুধু আফসোস করবেন।আর নিরালয়ে কস্ট অনুভব করবেন।
গেমে শারীরিক ক্ষতি
আমাদের শরীর সব সময় সচল থাকতে চায়, সচল শরীরকে অচল করানোর একমাত্র ভালো দিক হলো গেম খেলা।
কোনে প্রয়োজনে চাইলেও উঠতে চান না। আর শরীর আস্তে আস্তে ডাউন হতে থাকে।
গেম খেলতে খেলতে খেয়াল করবেন আপনার ঘাড়ে প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভব করতেছেন, আপনার ঘাড় ক্লান্ত হতে হতে আপনার ঘাড় আর আপনার মতো চলতে চাইতেছেনা। ঘাড় চায় মুক্ত নড়াচড়া আর আপনি একা ধারে তাকিয়ে থাকেন আপনার গেম ডিভাইসের দিকে।
তাই ঘাড়ে আপনার বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে, যদি সাবধান না হন তবে এতেই বিপদ আসতে পারে।
গেমে মানসিক ক্ষতি
ঘুম খুব প্রয়োজনীয় আমাদের মানসিক সুস্থতার জন্য।
আর অনেক গেমার কম ঘুমিয়ে গেমের পিছনে সময় নস্ট করে।
ঘুম এমন একটা জিনিস যা আপনার মানসিক ও শারীরিক উন্নতির জন্য খুব দরকারি।
আপনি যত কম ঘুমাবেন ততটাই আপনি খিটমিটে স্বভাবের হয়ে যাবেন। যাকে তাকে গালাগাল দিতে মন চাইবে।
অল্পতেই রাগ হয়ে যাবে। আপনি আস্তে আস্তে দেখবেন, আপনি যেমন ছিলেন না তেমন হয়ে যাচ্ছেন।
আপনি আগে কাউকে হয়তো গালি গিতেন না এখন অনায়াসেই দিতে পারবেন।
আপনি গেমে যা যা করেন সেইরকমই ভাবতে থাকেন আর মনে করেন এই ভাবেই মনে হয় পৃথিবী।
আসলে পৃথিবীতে গেমের থেকে অধিক ফিচার রয়েছে।
পৃথিবীর সকল নিয়মকানুন অমান্য করতে শুরু করেন।
আপনি যখনই অন্য কোনো মনে যাবেন, বা পড়তে বসবেন তখন ১০ মিনিট হলে মনে হবে আপনি অনেক সময় পড়তে বসছেন।
আপনার আবার গেমে ফিরতে মন চাইবে।
পারিবারিক বন্ধন নস্ট করে গেম
আপনি আপনার পরিবারের একটা অংশ। আপনি ছেলে হন কিংবা মেয়ে হন।
আপনার প্রতি যেমন বাবা মার দায়িত্ব আছে, আপনারও বাবা মার প্রতি দায়িত্ব আছে।
বাবা মার দায়িত্ব তো বাবা মা সঠিক ভাবেই পালন করছে। আপনার তো আপনার দায়িত্ব কি আপনি পালন করছেন?
আপনি হয়তো ভাবছেন আমার আবার দায়িত্ব কিসের?
আসলে আপনারও অনেক দায়িত্ব আছে।
আসল দায়িত্ব হলো, বাবা মা যাতে স্বস্তি পায় এমন কাজ করা করা। বাবা মা বেশি কিছু চায়না।
তারা শুধু আপনার ভালো চায়, যাতে বড় হয়ে আপনি সুন্দর জীবণ পার করতে পারেন।
তাই আপনার বাবা মার কথা শুনার চেস্টা করুন।
অনেক গেমারের মাঝে খেয়াল করা যায়, বাবা মা বা বড় ভাই ডাকলেও গেম খেলে যাবে, এমনকি ডাক দিলে সাড়াও দেয়না।
এই সময় বাবা মা কস্ট পায়। অনেকে আবার ডাকলে ঝাড়ি মারে।
এই জ্ঞান টুকু হারিয়ে যায়, সামান্য গেমের জন্য মা বাবার সাথে কি ব্যবহার করতেছে।
সমাজ ধ্বংস করে গেম
সমাজের ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ যুব সমাজ।যে সমাজের যুবকেরা নস্ট সে সমাজের ভবিষ্যৎ ভয়ানক খারাপ।
একসময় এই যুবকেরাই হবে আবার বাবা মা। যখন বাবা মা বুঝবেনা নীতিকর্ম তখন তার সন্তানেরা হবে আরো ভয়ানক।
এভাবে ধ্বংস নেমে আসে সমাজে।
আপনি মাসের পর মাস বছরের পর বছর যখন গেম খেলেন তখন তখন আপনি জানেন না আপনার আসে পাশের খবর।
যুবক হিসেবে আপনার কাজ হলো, সমাজের ভালো মন্দ খেয়াল করা, নিজে ভালো হয়ে চলা।
আপনি ভালো হলেও সমাজের উপকার।
সমাজ ধ্বংসী : ফ্রী ফায়ার গেম খেললে কি ক্ষতি হয় এই আর্টিকেল টি পুরোটা পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, এই আর্টিকেল যদি বুঝতে অসুবিধা হয় অথবা কোনো প্রশ্ন থাকে তবে কমেন্ট করুন, আশা করি আপনি উত্তর পাবেন।আর নতুুন কিছু জানার থাকলে আমাদের জানান আমরা জানানোর চেস্টা করবো। এই আর্টিকেলটি WikiJana.Com সাইটের সম্পদ তাই যদি কেউ কপি করেন তবে আপনারা অবশ্যই ক্রেডিট দিবেন নয়ত আপনার সাইট কপিরাইটের অধিনে চলে যেতে পারে।