আস্সালামু আলাইকুম! আশা করি আল্লাহ এর অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়াই ভালো আছি। আজকের নতুন টপিকে আপনাকে স্বাগতম! আজকে আপনাদের জানাবো উইন্ডোজ কত দিন পর পর দিতে হয় এই সম্পর্কের ভুল ধারনা নিয়ে!
বাংলাদেশের সব চেয়ে বেশি ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম হলো উইন্ডোজ। বলতে গেলে উইন্ডোজ আমারও ভালোই লাগে।
তবে ভালো লাগলেও উইন্ডোজ এর কিছু কারনে বেশি সতর্ক থাকতে হয় নয়তো আম ও ছালা সব চলে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়।
উইন্ডোজ কত দিন পর পর দিতে হয়
উইন্ডোজ আপনি প্রতিদিন ও দিতে পারেন! এবার ভাবতে পারেন এমন কথা বলার কারন কি?
অবশ্যই কারন আছে! কারনটা হলো আমাদের দেশে একটা প্রচলিত কথা বানিয়ে ফেলা হয়েছে যে, কিছুদিন পর পর উইন্ডোজ দিতে হয় তাহলে ভালো পারফরমেন্স পাওয়া যায়।
আমি কিছু ব্যাক্তির কাছে এমন কথা শুনে শুনে মনে ভাবি যে, কম্পিউটার কি পানি ব্যাটারি যে প্রায় পানি দিতে হবে?
আমি রিকমান্ড করিনা বারবার উইন্ডোজ দিতে!
বার বার উইন্ডোজ দিলে কি ক্ষতি হবে
আপনার তেমন কোনো ক্ষতিই হবেনা বরং নিচের কারন গুলো হতে পারে।
- আপনার সময় নস্ট হবে
- কোনো ক্ষেত্রে টাকা নস্ট হবে
- বারবার ব্যবহারের সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হবে
- C ড্রাইভে থাকা সকল ফাইল ডিলিট হবে।
- ড্রাইভার প্রোবলেম হতে পারে।
- ভুল করে পুরো হার্ড ডিস্ক ফরমেট করে ফেলতে পারেন।
তাহলে করনীয় কি
করনীয় তো থাকতেই হবে নয়তো আমি ব্লগ লেখা শুরুই করতাম না। প্রথমে আমার কথা বলি, আমি পিসি সেটআপ করার সময় উইন্ডোজ দিছি আর কখনোই উইন্ডোজ দেয়নি।
তাহলে আমার কি সমস্যা হয়না? অবশ্যই সমস্যা হয়।
তখন করনীয় কি?
করনীয় গুলো আগে নিচে দেওয়া হলোঃ
- আপনার সমস্যা কি হচ্ছে আগে ভালো ভাবে বুঝার চেস্টা করুন
- আপার পিসি স্লো কাজ করলে আপনার পিসি এর অনাকাঙ্ক্ষিত ফাইল গুলো ডিলিট করুন যদি এই ফাইল গুলো না চিনে থাকেন তবে cCleaner সফটওয়্যার ইউজ করেন এবং প্রতি সপ্তাহে ক্লিন করুন
- যদি কোনো এরর দেখা দেয় তবে ওই এরর নোটিশ এ যা লেখা তা লিখে গুগলে বা ইউটিউবে সার্চ করুন দেখবেন সমাধান পেয়ে যাবেন।
- প্রতিবার আপডেট দেওয়া আগে সতর্ক থাকুন।
- হটাৎ যেন পিসি অফ না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন
- ডেস্কটপ পিসি হলে ইউপিএস ব্যবহার করুন এতে পিসি হটাৎ বন্ধ হবেনা
- যে কোরো সফটওয়্যার ইনস্টল করার সময় অতিরিক্ত সাবধান থাকতে হবে যেন ভাইরাস এটাক না হয়
- যদি ওই সফটওয়্যার এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থাকে ওখান থেকে ডাউনলোড করবেন।
- কোনো কারনে এন্টিভাইরাস বন্ধ করলেও কাজ শেষে মনে করে অবশ্যই এন্টিভাইরাস অন করে রাখুন
- এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার সব সময় আপডেট রাখবেন
উপরের এই ভাবে পিসি ব্যবহার করলে আমাদের তেমন কোনো সমস্যায় হবেনা।
বেশি খেয়াল রাখবেন ৩ টা বিষয়ে,
হটাৎ যেন পিসি অফ না হয়, হটাৎ পিসি অফ হলে সিস্টেম ফাইল গুলোতে অনেক সময় ঝামেলা হয়ে যায়।
তাই ইউপিএস ব্যবহার করুন
প্রতি সপ্তাহে CCleaner সফটওয়্যার দিয়ে পিসি ক্লিন করুন।যাতে করে ভালো পারফরমেন্স পান।
সফটওয়্যার ইনস্টল এর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন যাতে ভাইরাস না ঢুকে। তাই এক্টিভাইরাস সব সময় চালু রাখুন
কখন উইন্ডোজ দিতেই হবে
যে যে কারনে আপনার নতুন উইন্ডোজ দিতে হতে পারে তার কিছু কারন নিচে দেওয়া হলো
হটাৎ বিদ্যুৎ যাওয়ার কারনে আপনার সিস্টেম ফাইল এ ঝামেলা হলে, ওই ফাইল রিকভার করা অনেক সময় সম্ভব হয়না তাইলে উইন্ডোজ দিতে হয়।
ভাইরাস আক্রান্ত হলে উইন্ডোজ দেওয়া লাগে।পুরো ক্লিন না করলে ভাইরাস থেকে যায়।
ফুল করে C Drive এর ফাইল ডিলিট করে দিলে নতুন উইন্ডোজ দিতে হয়।
আশা করি বুঝতে পারছেন যে প্রতিনিয়ত উইন্ডোজ দেওয়া কোনো উপকারে আসেনা। তাই বুঝে পিসি ব্যবহার করুন। অবুঝে পিসি ব্যবহারে হয়রান হওয়ার প্রয়োজন নাই।
উইন্ডোজ কত দিন পর পর দিতে হয় এই আর্টিকেল টি পুরোটা পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, এই আর্টিকেল যদি বুঝতে অসুবিধা হয় অথবা কোনো প্রশ্ন থাকে তবে কমেন্ট করুন, আশা করি আপনি উত্তর পাবেন।আর নতুুন কিছু জানার থাকলে আমাদের জানান আমরা জানানোর চেস্টা করবো। এই আর্টিকেলটি WikiJana.Com সাইটের সম্পদ তাই যদি কেউ কপি করেন তবে আপনারা অবশ্যই ক্রেডিট দিবেন নয়ত আপনার সাইট কপিরাইটের অধিনে চলে যেতে পারে।