আস্সালামু আলাইকুম! আশা করি আল্লাহ এর অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়াই ভালো আছি। আজকের নতুন টপিকে আপনাকে স্বাগতম! আজকে আপনাদের জানাবো ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়
ডিজিটাল মার্কেটিং এখনকার সময়ের মার্কেটের সবচেয়ে বড় মার্কেটিং মাধ্যম। এখন প্রতিটা ক্ষেত্রে ডিজিটাল মাধ্যম দরকার পড়ছে। ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে মার্কেটিং করতে পারলে সাধারন কোনো মার্কেটিং এর চেয়ে অনেক ভালো করা সম্ভব।এই কারনেই সবাই ইন্টারনেটে মার্কেটিং করতে চাই।যারা বিজনেস করে তারা তো বিজনেস করবেই।
তবে অনেকেই তো ডিজিটাল মার্কেটিং মাধ্যম বুঝতে পারছেনা।
তাদের মার্কেটিং এর যেকোনো অংশ হিসেবে কাজ করে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রীল্যান্সিং করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি
ডিজিটাল মাধ্যম গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার ও প্রচার করা করাই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য বেশির ভাগ স্যোশাল মিডিয়া, ইমেইল ও ওয়েবসাইট এসইও এর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। তাই আপনাকে এই বিষয়গুলো উপর দক্ষ হতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব
যদিও আপনি যেকোনো একটা কাজ শিখেই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। তবে ফ্রিল্যান্সারদের একটা কাজ শিখেই কাজ করা উচিৎ নয়। কাজ শুরু করা যেতে পারে, তবে একটা কাজ করেই অনেক সময় ইনকাম ভালো মতো নাও হতে পারে।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখলে পুরো বিষয়গুলো শেখাটা জরুরী। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য আপনার দরকার মনোবল ও মার্কেটিং এর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানা। আপনি যদি ভালো মার্কেটিং বুঝেন তবে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং ও ভালো বুঝবেন।
আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন, নিজে নিজে এবং কোর্স এর মাধ্যমে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিজে নিজে শিখতে আপনি ইউটিউবে বিভিন্ন ফ্রি কোর্স গুলো দেখতে পারবেন। আর রিসার্চ করার জন্য আপনি গুগল ব্যবহার করতে পারবেন। তবে আমি রিকমান্ড করবো, যদি ইংরেজি বুঝেন তবে ইংরেজিতে সার্চ করতে।
কি কি শিখবো ডিজিটাল মার্কেটিং এ
আপনি যদি নিজের ইচ্ছাতে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা শুরু করেন তবে নিচে দেওয়া লিস্ট এর সব গুলো শেখা শুরু করতে পারেন।
এই গুলো শিখলে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ প্রায় অনেক খানি শিখতে পারবেন। চাইলে এই গুলো শিখে আপনি মার্কেটপ্লেসে কাজও করতে পারবেন।
১. কন্টেন্ট ভাবনার কৌশল
আপনাকে মার্কেটিং এর কন্টেন্ট নিয়ে ভাবতে হবে। যেমন আপনি যে মার্কেটিং করবেন তার জন্য আপনার একটা ফটো ব্যানার দরকার, ওই ব্যানারের ডিজাইনটা কেমন হবে, ওই ডিজাইন যাদের টার্গেট করতেছি তারা কতটা পছন্দ করবে। এই বিষয় গুলো নিয়ে ভাবতে হবে।
আপনাকে আরো ভাবতে আপনি কোন কথা কিভাবে বলবেন, যাতে আপনার কথার কারনে কাস্টমার আকৃষ্ট হয়। যত বেশি আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্সদের আকর্ষন করতে পারবেন তত আপনার মার্কেটিং এর সফলতা আসবে।
২. SEO শেখা
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন শেখাটাও দরকার। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটার হতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই এসইও জানতে হবে। কারন আপনি এসইও জানলে আপনার মার্কেটিং আইডিয়া আরো বৃদ্ধি পাবে। গুগল থেকে অর্গানিক ভিজিটর পেতে পারবেন মার্কেটিং এর জন্য।
মার্কেটপ্লেসে এসইও এর কাজও প্রচুর রয়েছে।
৩. গেস্ট ব্লগিং করা
এসইও করার বা বিভিন্ন মার্কেটিং এর জন্য অন্যদের ওয়েবসাইটে ফ্রিতে পোস্ট লিখে দিতে পারেন। এতে করে আপনার ব্যকলিংক ক্রিয়েট হবে। ও আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে আরো বেশি অডিয়েন্স জানতে পারলো।
গেস্ট ব্লগিং করতে পারা একটা ভালো অভ্যাস তাই এই বিষয়ে দক্ষ হওয়া।
৪. ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন
ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন দরকার পড়বে আপনার এসইও এর ক্ষেত্রে তাই আপনি যদি এই ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন এর পুরো এক্সপার্ট নাও হোন তবে আপনার জানা উচিৎ ওয়েবসাইটের এসইও এর জন্য কি কি করা লাগবে।
আর যদি পারেন তবে অন্তত ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন টা শিখে নিতে পারেন।
৫. ভিডিও মার্কেটিং
মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ভিডিও হতে পারে আরো একটা প্লাস পয়েন্ট। ভিডিও এর মাধ্যমে মার্কেটিং এ ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়। তাই বেশির ভাগ মার্কেটার ভিডিও পছন্দ করে। তবে ভিডিও চায় প্রোফেশনাল লেভেলের। যদি ভিডিও খারাপ হয় তবে ভিডিও না দেওয়াই উত্তম।
৬. ইউটিউব মার্কেটিং
ইউটিউব এর মাধ্যমে আপনার কোনো চ্যানেল থেকে অনায়াসে অডিয়েন্সকে কাস্টমারে কনভার্ট করা যায়। তাই ইউটিউব এর সকল বিষয় গুলো আপনার জানতে হবে। কিভাবে একটা ভিডিওকে এসইও করতে হবে, কিভাবে ভিডিও ক্রিয়েট করতে হবে। সকল বিষয় আপনার জানতে হবে।
যদিও পেইড মার্কেটিং করা যায় ইউটিউবে তাই আপনাকে জানতে হবে কিভাবে ইউটিউবে এড দেওয়া যায়।
৭. স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং
প্রায় প্রতিটি স্যোশাল মিডিয়া প্লাটফরমে পেইড মার্কেটিং করা যায়। তাই আপনি ফেসবুক ও ইনসটাগ্রামে এ কিভাবে এড দিতে হয় তা শিখবেন, টুইটার , পিনটারেস্ট ,লিংকদিন এ কিভাবে এড দিতে হয় তাও শিখবেন, এই রকম প্রতিটি স্যোশাল মিডিয়াতে এড দেওয়া শিখবেন।
৮. ইমেইল মার্কেটিং
ইমেইল এর মাধ্যমে মার্কেটিং করে অনেক সময় ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়। তাই আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্স এর মেইল কালেক্ট করে কিভাবে তাদের মেইল করা যায়, এবং আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে ধারনা দেওয়া যায়। তা নিয়ে কাজ করতে পারেন।
৯. ব্যনার ক্রিয়েট করা
বিভিন্ন এড ক্যাম্পিয়েন চালু করার জন্য আপনার বিভিন্ন রকম ব্যনার এর দরকার পড়বে তাই আপনি চাইলে ফটোশপ শিখে নিতে পারেন। আর যদি ফটোশপ আপনার কঠিন মনে হয় তবে আপনি ক্যানভা ইউজ করতে পারবেন। কারন ক্যানভাতে অনেক ডিজাইন করা থাকে শুধু ওগুলো এডিট করে করে ব্যবহার করতে পারবেন।
এই আর্টিকেল টি পুরোটা পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, এই আর্টিকেল যদি বুঝতে অসুবিধা হয় অথবা কোনো প্রশ্ন থাকে তবে কমেন্ট করুন, আশা করি আপনি উত্তর পাবেন।আর নতুুন কিছু জানার থাকলে আমাদের জানান আমরা জানানোর চেস্টা করবো। এই আর্টিকেলটি WikiJana.Com সাইটের সম্পদ তাই যদি কেউ কপি করেন তবে আপনারা অবশ্যই ক্রেডিট দিবেন নয়ত আপনার সাইট কপিরাইটের অধিনে চলে যেতে পারে।