আস্সালামু আলাইকুম! আশা করি আল্লাহ এর অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়াই ভালো আছি। আজকের নতুন টপিকে আপনাকে স্বাগতম! আজকে আপনাদের দেখাবো অনপেজ এসইও কি ও কিভাবে করতে হয়। On Page SEO কিভাবে করে তা নিয়ে উইকিজানাতে বিস্তারিত পর্বতে আপনাকে স্বাগতম।
অনপেজ এসইও কিঃ
অনপেজ এসইও হলো, সার্চ ইন্জিন যাতে বুঝতে পারে আপনি কি নিয়ে আপনার লেখা সাজিয়েছেন।আপনার লেখা গুগলকে বা অন্যান্য সার্চ ইন্জিনকে বুঝানোর প্রক্রিয়াকেই অনপেজ এসইও বলে।
যদি আপনি কোনো বিষয়ে লিখলেন বা পেজ বানালেন আর এমন করে লিখলেন, তা গুগল বুঝতেই পারল না। গুগল তাহলে আপনাকে উপরের দিকে কেন রাখবে, তাই না?
গুগল যাতে করে আপনার লেখা বুঝতে পারে যে আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন, তাহলে অন্যরা যদি ওই বিষয়ে সার্চ করে তবে আপনার লেখা উপরের দিকে দেখাবে।
অনপেজ এসইও করতে নিজের লেখা বা পেজের মধ্যে কাজ করতে হয়। এর জন্য নিচের টিউটোরিয়াল ভালো ভাবে খেয়াল করবেন।
On Page SEO কিভাবে করে
On page SEO শুরু করার জন্য প্রথমে আপনার যেকোনো একটি পেজ লাগবে, যে পেজ বা ওয়েব সাইট গুগল সার্চ কনসোলের সাথে যুক্ত।
নয়তো আপনি অনপেজ এসইও করলেও কোনো লাভ হবেনা। আপনার ওয়েবসাইট গুগলের সাথে যুক্ত না হলে আপনি যত ভালো এসইও করেন তা গুগল টেরই পাবেনা। তাই আগে আপনার ওয়েব সাইট গুগল সার্চ কনসোলে এড করে নিন।
টিউটোরিয়াল: অনপেজ এসইও
টাইটেলে কিওয়ার্ড
আপনি যে পোস্ট লিখবেন তার যে টাইটেল হবে তার প্রথম দিকে আপনার আপনার কিওয়ার্ড রাখুন।যদি কোডিং এর ভাষায় বলি তবে <title> ট্যাগ এর মধ্যে বা প্রথমে আপনার কিওয়ার্ড রাখুন।
নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড যদি টাইটেল এ না থাকে তবে এসইওতে বিরাট সমস্যা হবে।
লেখার শুরুতে কিওয়ার্ড
আপনি যখন লেখা শুরু করবেন অবশ্যই আপনার লেখার প্রথম দিকে আপনার কিওয়ার্ড লেখার চেস্টা করুন। যেমন আমার এই পোস্টের কিওয়ার্ড হলো, On Page SEO তাই লেখার শুরুর দিকে খেয়াল করুন আমি এই কিওয়ার্ড ব্যবহার করার চেস্টা করেছি।
আপনার লেখার প্রথম ১৫০ ওয়ার্ডের মধ্যে অবশ্যই আপনার কিওয়ার্ডটি রাখুন। তাহলে গুগল এর বুঝতে সুবিধা হবে। আপনি কি নিয়ে লিখতেছেন।
যেমন, বক্তৃতা শুরু করার আগে যদি কি বিষয়ে বক্তৃতা দিবো তা নিয়ে আলোচনা না করেই যদি বক্তৃতা শুরু করে দেই তা হলে কেমন হবে?
অনেকে বুঝতেই পারবেন না, কোন বিষয়ে বক্তৃতা দেওয়া হচ্ছে।
h1, h2, h3 ট্যাগ এ কিওয়ার্ড
আপনি যখন আপনার পোস্ট লিখবেন বা আপনার পেজ সাজাবেন তখন কিছু লেখার পর পর আপনার নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড এর হেডিং ব্যবহার করতে হবে। যদিও এখানে <h1>, <h2>, <h3> ট্যাগ দেখানো হয়েছে। তবে আপনি মেজর হেডিং (H1), হেডিং (H2) ও সাবহেডিং (H3) ব্যবহার করতে পারেন।
হেডিং এর ব্যবহার |
এই ব্লগেও হেডিং ইউজ করা হয়েছে।
ইমেজ অপটিমাইজ করুন
আপনার লেখার মাঝে এমন ছবি ব্যবহার করুন যা সাইজে অনেক ছোট। তাই বলে খারাপ দেখা যায় এমন ছবি দেওয়া যাবেনা।
আপনার ছবির সাইজ ১০০কেবি এর কম রাখার চেস্টা করবেন।(আমার মতামত) তাহলে দ্রুত লোড হবে।
আপনার ওয়েবসাইট যত স্লো হবে তত সমস্যা এসইওতে। ছবির কারনে অনেক স্লো হয় ওয়েবসাইট তাই আমি ছবির সাইজ ছোট রাখতে পরামর্শ দিবো।
উইকিজানাতে ইমেজ অপটিমাইজেশন নিয়ে পোস্ট আছে তাইলে পড়তে পারেন: ফটোশপের মাধ্যমে কিভাবে webp ফাইল সেভ করবেন - webp ফাইল এর সুবিধা - How to save webp file through Photoshop
প্রতিশব্দ ব্যবহার করুন
আপনার লেখার মাঝে একই শব্দ বারবার না ব্যবহার করে ওই শব্দের আরেকটা শব্দ বলতে পারেন।যেমন এই ব্লগে আমি এসইও বাংলাতে ও ইংরেজিতে ব্যবহার করেছি।
কেউ যদি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডের বাইরে সার্চ করে তবে যদি ওই শব্দটা আপনার সাইটে না থাকে তবে ওই কিওয়ার্ডে আপনার সাইট আসবেনা।
তাই আপনার উচিৎ একই কথার প্রতিশব্দ ব্যবহার করুন।
ইন্টার্নাল লিংক ব্যবহার
আপনার পেজ বা পোস্টের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইটের অন্যান্য পেজের লিংক ব্যবহার করুন।
আমার লেখা ব্লগের মধ্যে খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, একই ওয়েবসাইটের আলাদা পেজের লিংক ব্যবহার করতে।
এক্সটারনাল লিংক ব্যবহার
আপনার পেজ বা পোস্টের মধ্যে অন্য ওয়েবসাইটের লিংক ব্যবহার করুন। যেমন আপনি নির্দিষ্ট তথ্যের সুত্র দেওয়ার জন্য অন্য ওয়েবসাইটের লিংক ব্যবহার করুন।
লিংক এর মাঝে কিওয়ার্ড ব্যবহারঃ
আপনার পোস্ট বা ওয়েব পেজের আলাদা যে লিংক তৈরি হয় তাকে পারমালিংক বলা হয়।
এই পারমালিংক এর মধ্যে অবশ্যই আপনার কিওয়ার্ড রাখতে হবে।
এক কথায় আপনার পোস্ট বা পেজের লিংকে যেন নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড থাকে।
পারমালিংক |
ডোমেইন নেম এর পরেই আপনার কিওয়ার্ড টা রাখতে পারলে ভালো। ডোমেইন নেম এর পরে কারন ছাড়া কোনো কিছু না রাখা ঠিক হবেনা।
যতটা সম্ভব ডোমেইন নেম এর পরপরই আপনার নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড রাখার চেস্টা করুন।
তাই বলে কিওয়ার্ড দিতে গিয়ে লিংক যেন বড় না হয়ে যায়। লিংক বড় হলে এসইওতে সমস্যা হয়, যত ছোট করা যায় ততই ভালো।